متن احکام
মাসআলা : ১৫৫৪- রোযার কথা স্মরণ থাকাসত্বেও ইচ্ছে করে খেলে বা পান করলে তা যত কমই হোক রোযা বাতিল হয়ে যাবে, এমনকি মুখের ভিতরে থাকা কোন খাদ্যকনা বা দাত মাজার ব্রাশ মুখ থেকে বের করার পর আবার মুখে দিয়ে তাতে অবস্থিত তরল পদার্থ পান করলেও রোযা বাতিল বলে পরিগণিত হবে। তবে যদি সে তরল পদার্থ তার সাথে এভাবে মিশে থাকে যার ফলে তা বাইরের তরল পদার্থ বলে ধরা হয় না, তাহলে রোযা বাতিল হবে না।
*মাসআলা : ১৫৫৫- খাওয়া বা পানাহার করার সময় যদি বুঝা যায় যে, আজানের সময় হয়েছে, তাহলে মুখের খাবার বা পানীয় বের করে ফেলতে হবে, যদি কেউ ইচ্ছা করে তা গিলে ফেলে তাহলে তার ঐ রোযা বাতিল বলে পরিগণিত হবে এবং তার উপর কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে।
*মাসআলা : ১৫৫৬- ভুল করে কিছু খেলে বা পান করলে রোযা বাতিল হবে না।
*মাসআলা : ১৫৫৭- ইনজেকশন বা সেলাইন দেয়ার কারণে রোযা বাতিল হবে না, অনুরূপভাবে স্প্রে মুখে প্রবেশ করানো, চোখ ও কানের ড্রপ ঔষধ হিসেবে ব্যবহারের কারণে রোযা বাতিল হবে না।
*মাসআলা : ১৫৫৮- দাঁতের ফাঁকে থাকা খাদ্যকনা ইচ্ছে করে গলাধকরণ করার কারণে রোযা বাতিল হবে না।
*মাসআলা : ১৫৫৯- রোযাদার ব্যক্তিকে ফজরের আজানের আগে খিলাল করা জরুরী নয়, কিন্তু যদি বুঝা যায় যে, সে কারণে দাতের ফাঁকে থাকা খাদ্যকনা গলায় প্রবেশ করতে পারে তাহলে দাঁত ব্রাশ করা জরুরী।
*মাসআলা : ১৫৬০- মুখের ভিতর জমা থুথু ইচ্ছে করে গলাধকরণ করার কারণে রোযা বাতিল হবে না।
*মাসআলা : ১৫৬১- কাশ বা কফ গলার মধ্যে থাকা অবস্থায় গিলে ফেলার কারণে রোযা বাতিল হবে না; তবে যদি তা গলার উপরে মুখের ভেতর চলে আসে, তাহলে এহতিয়াতে মুস্তাহাবের ভিত্তিতে তা গিলে ফেলা উচিত হবে না।
*মাসআলা : ১৫৬২- কোন রোযাদার ব্যক্তি যদি অত্যধিক তৃষ্ণার্ত হয় এবং এমন পর্যায়ে যায়, যে কারণে (তার ভয় হয় যে) পানি পান না করলে সে মারা যেতে পারে বা অনেক সমস্যা হতে পারে; তাহলে তা থেকে বাঁচার জন্য নুন্যতম পানি পান করা তার জন্য ওয়াজিব; কিন্তু রোযা বাতিল হয়ে যাবে; তবে যদি রমজান মাস হয়, তাহলে এহতিয়াতের ভিত্তিতে তারপর কিছু খাওয়া বা পান করা যাবে না এবং ইফতার পর্যন্ত সেভাবেই থাকতে হবে।
*মাসআলা : ১৫৬৩- রোযা থাকা অবস্থায় খাদ্য চিবিয়ে বাচ্চা বা পাখিকে দেয়া অথবা রান্না করা খাদ্যের সাধ বুঝার জন্য তা চেখে দেখা ও অনুরূপ যেসব কাজে খাদ্য বা পানীয় গলার ভিতর প্রবেশ করে না, তাতে অসুবিধা নেই; যদিও ঘটণাক্রমে ঐ পদার্থ গলার ভিতর প্রবেশ করে থাকে; কিন্তু যদি আগে থেকে জানা থাকে যে, গলার ভিতর প্রবেশ করবে তাহলে তা করা যাবে না এবং তখন তা করার ফলে যদি গলার ভিতর প্রবেশ করে, তাহলে রোযা বাতিল হয়ে যাবে; তখন তার কাজা আদায় করতে হবে এবং কাফ্ফারাও দিতে হবে।
*মাসআলা : ১৫৬৪- দূর্বলতার কারণে রোযা ভাঙ্গা যাবে না, কিন্তু যদি দূর্বলতা এমন পর্যায়ের হয় যা সহ্যাতীত হয়ে পড়ে, তাহলে ভাঙ্গা যাবে।