জুনুব বা হায়েয অবস্থায় ফজরের আজান পর্যন্ত থাকা

لیست احکام

اطلاعات احکام

تعداد فرزند زبان
0 Bengali বাংলা bn

فرزندان

متن احکام

মাসআলা : ১৫৯১- জুনুব ব্যক্তি যদি ইচ্ছা করে ফজরের আজান পর্যন্ত গোসল বা তার দায়িত্ব পালন (যেমন : তায়াম্মুম) না করে থাকে, তাহলে সে রোযা পূর্ণ করতে হবে এবং পরে আরেকবার তার শরিয়তি কর্তব্যসরূপ রোযা রাখতে হবে।
*মাসআলা : ১৫৯২- রমজান মাসের কাজা রোযার ক্ষেত্রেও জুনুব ব্যক্তি ফজরের আগে গোসল করবে, যদি ইচ্ছা করে ফজরের আজান পর্যন্ত গোসল না করে থাকে, তাহলে সেদিন রোযা রাখতে পারবে না, যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে ফজরের আজান পর্যন্ত গোসল করা না হয়, তাহলে রোযা রাখা যাবে; কিন্তু এহতিয়াতের ভিত্তিতে তরক করা উত্তম।
*মাসআলা : ১৫৯৩- রমজান মাসের চলতি রোযা বা কাজা রোযা ব্যতীত অন্যান্য  ওয়াজিব ও মুস্তাহাব রোযার ক্ষেত্রে জুনুব ব্যক্তি যদি ইচ্ছা করে ফজরের আজান পর্যন্ত গোসল না করে থাকে, তাহলে অসুবিধা নেই (সেদিন রোযা রাখতে পারবে)।
*মাসআলা : ১৫৯৪- জুনুব ব্যক্তি যদি ইচ্ছা করে গোসল না করে থাকে এবং সে কারণে ফজরের আজানের সময় ঘনিয়ে আসে, তাহলে তায়াম্মুম করে রোজা রাখতে হবে এবং সে রোজা সহীহ হবে।
*মাসআলা : ১৫৯৫- রমজান মাসে যদি কোন জুনুব ব্যক্তি গোসল করতে ভুলে যায় একদিন বা কয়েকদিন পর তা মনে হয়, তাহলে যতদিন জুনুব অবস্থায় রোযা ছিল, ততদিনের রোযা কাজা করতে হবে। আর যদি দিনের সংখ্যা সম্পর্কে সন্দেহ হয়, তাহলে কম সংখ্যক দিনের কাজা আদায় করলেই যথেষ্ট হবে।
*মাসআলা : ১৫৯৬- গোসল বা তায়াম্মুম করার যদি সময় না থাকে তারপরও যদি কেউ ইচ্ছা করে জুনুব হয়, তাহলে সে বাতিল বলে পরিগণিত হবে এবং ঐ রোযার কাজা ও কাফ্‌ফারা উভয় দায়িত্ব পালন করতে হবে।
*মাসআলা : ১৫৯৭- গোসলের সময় নেই তা জেনেও যদি কেউ জুনুব হয় ও তায়াম্মুম করে অথবা সময় থাকা সত্বেও গোসল না করে, সে কারণে ফজরের আজানের সময় ঘনিয়ে আসে এবং তখন তায়াম্মুম করে তাহলে সে রোজা সহীহ হবে; যদিও সে গুনাহগার বলে বিবেচিত হবে।
*মাসআলা : ১৫৯৮- রমজান মাসের রাতে জুনুব হবার পর যদি বুঝা যায় যে, গোসল না করে ঘুমালে ফজরের আগে উঠা যাবে না, তাহলে এহতিয়াতে ওয়াজিবের ভিত্তিতে গোসল না করে ঘুমানো  ঠিক হবে না; যদি তা না করে কেউ ঘুমায় এবং ফজরের আগ পর্যন্ত জাগতে না পারে, তাহলে সে রোজা পূর্ণ করতে হবে এবং তার কাজা ও কাফ্‌ফারা উভটিই আাদায় করতে হবে।
*মাসআলা : ১৫৯৯- রমজান মাসের রাতে জুনুব হবার পর যদি বুঝা যায় যে, গোসল না করে ঘুমালে ফজরের আগে উঠা যাবে, তারপর যদি কেউ ঘুমায় এবং জেগে উঠে ও পুনরায় ঘুমিয়ে যদি আজানের আগে জাগতে পারে, তাহলে ঘুমাতে পারবে।
*মাসআলা : ১৬০০- রমজান মাসের রাতে জুনুব হবার পর কেউ যদি বুঝতে পারে যে, গোসল না করে ঘুমালে ফজরের আগে উঠতে পারবে এবং তখন গোসল করার সিদ্ধান্ত নেয়; তারপর ঘুমানোর পর যদি সে জাগতে না পারে, তাহলে তার ঐ রোযা সহীহ হবে।
*মাসআলা : ১৬০১- রমজান মাসের রাতে জুনুব হবার পর যদি সন্দেহ হয় যে, গোসল না করে ঘুমালে ফজরের আগে উঠা যাবে না এবং উঠলেও গোসল করা কষ্টসাধ্য হবে, তখন ঘুমনোর পর যদি কেউ ফজরের আগে উঠতে না পারে, তাহলে এহতিয়াতের ভিত্তিতে তার উপর কাজা ওয়াজিব হবে।
*মাসআলা : ১৬০২- রমজান মাসের রাতে জুনুব হবার পর যদি নিশ্চিত হওয়া যায় বা ধারণা বা সন্দেহ করা যায় যে, গোসল না করে ঘুমালে ফজরের আগে উঠা যাবে কিন্তু তখন গোসল করার সিদ্ধান্ত না নেয়া হয়; তারপর ঘুমানোর পর যদি সে ব্যক্তি জাগতে না পারে, তাহলে ঐ রোজা পূর্ণ করতে হবে এবং তার কাজা ও কাফ্‌ফারা উভটিই আাদায় করতে হবে।
*মাসআলা : ১৬০৩- রমজান মাসের রাতে জুনুব হবার পর ঘুমিয়ে জাগনা হবার পর যদি নিশ্চিত হওয়া যায় বা ধারণা করা যায় যে, গোসল না করে পুনরায় ঘুমালে ফজরের আগে উঠা যাবে এবং তখন গোসল করা হবে; তারপর ঘুমানোর পর যদি এরূপ ব্যক্তি জাগতে না পারে, তাহলে ঐ রোজা পূর্ণ করতে হবে এবং তার কাজা আদায় করতে হবে; আর যদি তৃতীয়বার ঘুমানোর পর জাগতে না পারে, তাহলে ঐ রোজা পূর্ণ করতে হবে এবং তার কাজা আদায় করতে হবে; এবং এহতিয়াতে মুস্তাহাবের ভিত্তিতে কাফ্‌ফারাও দিতে হবে।
*মাসআলা : ১৬০৫- রোযাদার ব্যক্তির দিনের বেলায় সপ্নদোষ হলে সাথে সাথে গোসল করা আবশ্যক নয়।
*মাসআলা : ১৬০৮- কোন মহিলা রমজান মাসের কোন রাতে ফজরের আগে যদি হায়েয বা নিফাস থেকে পাক হয়; কিন্তু যদি ইচ্ছা করে ফজরের আজান পর্যন্ত গোসল বা তার দায়িত্ব পালন (যেমন : তায়াম্মুম) না করে থাকে, তাহলে সে রোযা পূর্ণ করতে হবে এবং পরে তার কাজা আদায় করতে হবে; কিন্তু যদি তা কাজা রোযার ব্যাপারে ঘটে থাকে, তাহলে সে রোযা রাখা যাবে না।
*মাসআলা : ১৬০৯- কোন মহিলা রমজান মাসের কোন রাতে ফজরের আগে যদি হায়েয বা নিফাস থেকে পাক হয়; কিন্তু যদি ইচ্ছা করে গোসল না করে থাকে এবং সে কারণে ফজরের আজানের সময় ঘনিয়ে আসে, তাহলে তায়াম্মুম করে রোজা রাখতে হবে এবং সে রোজা সহীহ হবে।
*মাসআলা : ১৬১০- কোন মহিলা রমজান মাসের কোন রাতে ফজরের আগে যদি হায়েয বা নিফাস থেকে পাক হয়; কিন্তু সময় না থাকার কারণে গোসল করতে না পারে, তাহলে তায়াম্মুম করে রোজা রাখতে হবে তবে তার জন্য ফজরের আজান পর্যন্ত জেগে থাকা আবশ্যক নয় এ ক্ষেত্রে সে রোজা সহীহ হবে।
*মাসআলা : ১৬১১- কোন মহিলা রমজান মাসের কোন রাতে ফজরের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে যদি হায়েয বা নিফাস থেকে পাক হয়; কিন্তু গোসল বা তায়াম্মুম কোনটাই করার সময় না থাকে, তাহলে তার ঐ দিনের রোজা সহীহ হবে।
*মাসআলা : ১৬১২- কোন মহিলা রমজান মাসে ফজর নামাযের পর বা দিনের বেলায় বা মাগরিবের আগে যদি হায়েয বা নিফাস থেকে পাক হয়, সেদিন রোযা রাখা যাবে না; সেদিন রোযা রাখা হলে তা বাতিল বলে পরিগণিত হবে।
*মাসআলা : ১৬১৩- রমজান মাসে হায়েয বা নিফাস থেকে পাক হওয়া কোন মহিলা যদি গোসল করতে ভুলে যায় এবং তার একদিন বা কয়েকদিন পর তা মনে হয়, তাহলে সেসব রোযা সহীহ হবে।
*মাসআলা : ১৬১৪- কোন মহিলা রমজান মাসের কোন রাতে ফজরের আগে যদি হায়েয বা নিফাস থেকে পাক হয়; কিন্তু যদি ইচ্ছা করে গোসল না করে থাকে এবং সে কারণে ফজরের আজানের সময় ঘনিয়ে আসে এবং তায়াম্মুমও না করে, তাহলে সে রোজা পূর্ণ করতে হবে এবং পরে তার কাযাও আাদায় করতে হবে; কিন্তু যদি অবহেলা না করে বরং সুযোগের (গোসলের পরিবেশ সৃষ্টির) অপেক্ষায় থাকে, তাহলে তার রোযা সহীহ হবে।
*মাসআলা : ১৬১৫- বেশি বা মাঝারি পর্যায়ের ইসতিহাযায় আক্রান্ত মহিলা যদি গোসল না করে, তবুও তার রোযা সহীহ হবে।
*মাসআলা : ১৬১৬- মৃত ব্যক্তিকে স্পর্শ করার কারণে গোসল না করে রোযা রাখা সহীহ হবে। এমনকি রোযা থাকা অবস্থায় মৃত ব্যক্তিকে স্পর্শ করা হলেও অসুবিধা নেই, রোযা বাতিল হবে না।