মাসআলা : ১৬২৫- রোযা ভঙ্গের কারণ সমূহের কোন কিছু যদি রোযাদার ইচ্ছাকৃতভাবে করে থাকে, তাহলে রোযা বাতিল হয়ে যাবে, কিন্তু অনিচ্ছাকৃতভাবে হলে অসুবিধা নেই; তবে জুনুব ব্যক্তির আহকাম ১৬০২ নং মাসআলায় বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু মাসআলা না জানার কারণে এবং এ ব্যাপারে তার দোষ না থাকার কারণে যদি কোন কাজ হয়ে থাকে যা রোযা ভঙ্গ করে, তাহলে রোযা সহীহ হবে; তবে পানাহার ও সঙ্গম করা তার ব্যতিক্রম, তার মাসআলা জেনে করুক বা না জেনে করুক রোযা বাতিল বলে পরিগণিত হবে। *মাসআলা : ১৬২৭- গলার মধ্যে কোন কিছু জোর পূর্বক ঢালার কারণে রোযা বাতিল হবে না, কিন্তু পানাহার ও সঙ্গম করতে বাধ্য করা হলে রোযা ভঙ্গ হবে; অন্যান্য ক্ষেত্রে এহতিয়াতে ওয়াজিবের ভিত্তিতে রোযা বাতিল বলে পরিগণিত হবে। *মাসআলা : ১৫২৮- কোন কাজ বা কোথাও যাবার কারণে যদি রোজা ভঙ্গের কোন কাজ হয়ে থাকবে তা জানা থাকে, তাহলে সে কাজ করা যাবে না বা সেখানে যাওয়া যাবে না; যদি তা করা হয় এবং সে কারণে রোযা ভঙ্গের কোন কাজ ঘটে, তাহলে রোযা ভঙ্গ হবে। গলায় কিছু প্রবেশ করার ব্যাপারেও একই হুকুম।

لیست احکام

اطلاعات احکام

تعداد فرزند زبان
0 Bengali বাংলা bn

فرزندان

متن احکام

মাসআলা : ১৬২৯- রোযাদারের জন্য কয়েকটি কাজ মাকরুহ :
১) চোখে সুরমা বা এমন ঔষধ দেয়া যে কারণে তার স্বাদ গলায় চলে যায়;
২) যেসব কাজে দেহ দূর্বল হয় যেমন রক্ত দেয়া;
৩) নাকে এমন ঔষধ দেয়া যে কারণে তার স্বাদ গলায় চলে যায়; যদি তা জানা থাকে তবে তা করা জায়েয নয়।
৪) সুগন্ধিযুক্ত লতা-পাতার ঘ্রাণ নেয়া;
৫) রোযাদার মহিলার পানিতে অবস্থান করা;
৬) শিয়াফ ব্যবহার করা;
৭) শরীরে পরিহিত জামা ভেজানো;
৮) দাত তোলা ও অন্য যেসব কাজে মুখ দিয়ে রক্ত বেরোয়;
৯) ভেজা মেসওয়াক (গাছের ডাল) দিয়ে দাত ব্রাশ করা;
১০) পানি বা কোন জিনিস অযথা মুখে প্রবেশ করানো; ও
১১) যেসব কাজে কাম বাসনা উত্তেজিত হয়, কিন্তু বীর্য বের হয় না; সেসব কাজ এমনকি নিজ স্ত্রীর সাথে করাও মাকরুহ।