কাযা রোযার আহকাম

لیست احکام

اطلاعات احکام

تعداد فرزند زبان
0 Bengali বাংলা bn

فرزندان

متن احکام

মাসআলা : ১৬৬৫- পাগল ব্যক্তি সুস্থ হবার পর পাগল অবস্থায় অতিক্রান্ত রোযা সমূহের কাজা আদায় করতে হবে না।
*মাসআলা : ১৬৬৬- কাফের মুসলমান হবার পর কাফের অবস্থায় অতিক্রান্ত রোযা সমূহের কাজা আদায় করতে হবে না। কিন্তু মুসলমান কাফের হবার পর পুনরায় যদি মুসলমান হয়, তাহলে সে অবস্থায় অতিক্রান্ত রোযা সমূহের কাজা আদায় করতে হবে। 
*মাসআলা : ১৬৬৭- মাতাল ব্যক্তি সুস্থ হবার পর মাতাল অবস্থায় অতিক্রান্ত রোযা সমূহের কাজা আদায় করতে হবে।
*মাসআলা : ১৬৬৮- কোন শরিয়তি ওজরের কারণে কিছুদিন রোজা না থাকার পর যদি তার সংখ্যার ব্যাপারে কেউ নিশ্চিত হতে না পারে, তাহলে তার ধারণা মোতাবেক নুন্যতম সংখ্যক রোযা রাখলেই যথেষ্ট হবে।
*মাসআলা : ১৬৬৯- রমজান মাসের কাজা রোযাগুলো ধারাবাহিকভাবে আদায় করা আবশ্যক নয়, কিন্তু যদি পরবর্তী রমজান মাসের সময় ঘনিয়ে আসে, তাহলে শেষ দিকের রোযাগুলো আগে রাখা উত্তম।
*মাসআলা : ১৬৭০- কয়েকটি রমজান মাসের রোযা যদি কারো কাজা থাকে, তখন যদি কোন বছরের কাজা আদায় করছে তা নির্দিষ্ট করা না হয়, তাহলে শেষ রমজান মাসের কাজা বলে পরিগণিত হবে না এবং তখন সে বছর অতিক্রম হবার কারণে অতিরিক্ত কাফ্‌ফারা বলবৎ থাকবে।
*মাসআলা : ১৬৭১- রমজান মাসের কাজা রোযা রাখার সময় যোহরের আগে ইচ্ছাকৃতভাবে ভেঙ্গে ফেলা যাবে; তবে যদি পরবর্তী রমজান মাস ঘনিয়ে আসে তবে না ভাঙ্গাই উত্তম।
*মাসআলা : ১৬৭২- মৃতব্যক্তির রোযার দায়িত্ব নেয়ার পর রোযা রাখা হলে, যোহরের পরে ইচ্ছাকৃতভাবে ভেঙ্গে ফেলা উচিত হবে না।
*মাসআলা : ১৬৭৩- হায়েয, নিফাস বা অসুস্থতার কারণে যদি কোন রোযা কাজা হয় এবং তার কাজা আদায় করার পূর্বেই যদি কেউ মারা যায়, তাহলে সেসব কাজা হিসেব হবে না (অর্থাৎ ক্ষমাকৃত বলে ধরা হবে)।
*মাসআলা : ১৬৭৪- অসুস্থতার কারণে যদি কিছু রোযা কাজা হয় এবং সে অসুস্থতা যদি পরবর্তী রমজান মাস পর্যন্ত অব্যাহত থাকে, তাহলে সেসব কাজা আদায় করতে হবে না বরং প্রতি দিনের জন্য শুধু এক মোদ (৭৫০ গ্রাম) খাদ্য ফকিরকে দিলেই যথেষ্ট হবে; কিন্তু অন্যান্য সমস্যার কারণে সেরূপ হলে এই হুকুম প্রযোজ্য হবে না; তখন সেসব কাজা রোযা বলবৎ থাকবে এবং এহতিয়াতে মুস্তাহাবের ভিত্তিতে তার সাথে প্রতি দিনের জন্য এক মোদ (৭৫০ গ্রাম) খাদ্য ফকিরকে দিতে হবে।
*মাসআলা : ১৬৭৫- অসুস্থতার কারণে যদি কিছু রোযা কাজা হয় এবং সে অসুস্থতা যদি পরবর্তী রমজান মাস পর্যন্ত অব্যাহত না থাকে, কিন্তু ভিন্ন কোন ওজরের কারণে যদি সে বছর তার কাজা আদায় করতে না পারা যায়, তাহলে সেসব রোযার কাজা আদায় করতে হবে এবং এহতিয়াতে মুস্তাহাবের ভিত্তিতে তার সাথে প্রতি দিনের জন্য এক মোদ (৭৫০ গ্রাম) খাদ্য ফকিরকে দিতে হবে।
*মাসআলা : ১৬৭৬- কোন ওজরের কারণে যদি রোযা রাখা না যায় এবং রমজান মাসের পর ওজর শেষ হবার পরও যদি সে বছর তার কাজা আদায় করতে না পারা যায়, তাহলে সেসব রোযার কাজা আদায় করতে হবে এবং তার সাথে প্রতি দিনের জন্য এক মোদ খাদ্য ফকিরকে দিতে হবে।
*মাসআলা : ১৬৭৭- রোযার কাজা আদায় করতে যদি অবহেলা করা হয় এবং তারপর সময় সংকীর্ণ হয়ে যায় এবং তখন নতুন করে ওজর উপস্থিত হয়; তাহলে সেসব রোযার কাজা আদায় করতে হবে এবং তার সাথে প্রতি দিনের জন্য এক মোদ খাদ্য ফকিরকে দিতে হবে। একই হুকুম তার জন্য প্রযোজ্য হবে যে ব্যক্তি ওজর সমাপ্ত হবার পর কাজা আদায় করার সিদ্ধান্ত নেয়, কিন্তু তা আদায় করার আগে সময় সংকীর্ণতার জন্য নতুন ওজর সৃষ্টি হয়।
*মাসআলা : ১৬৭৮- কারো অসুস্থতা যদি কয়েক বছর ধরে চলতে থাকে; তারপর যখন সে সুস্থ হবে তখন শুধু শেষ রমজান মাসের রোযা রাখতে হবে এবং তার পূর্বের বছরগুলোর প্রতিদিনের রোযার জন্য শুধু এক মোদ খাদ্য ফকিরকে দিতে হবে।
*মাসআলা : ১৫৭৯- যার প্রতিদিনের রোযার জন্য শুধু এক মোদ খাদ্য ফকিরকে দিতে হয়; সে কয়েক দিনের কাফ্‌ফারা একজন ফকিরকে দিতে পারবে।
*মাসআলা : ১৫৮০- রোযার কাজা আদায়ের সময় যদি কয়েক বছর পিছিয়ে দেয়া হয়; তবুও তার কাজা আদায় করতে হবে এবং প্রথম বছর পেছানোর কারণে প্রতিদিনের রোযার জন্য এক মোদ খাদ্য ফকিরকে দিতে হবে; কিন্তু অন্যান্য বছর পেছানোর জন্য কোন অতিরিক্ত কর্তব্য নেই।
*মাসআলা : ১৬৮১- রমজান মাসের রোযা ইচ্ছা করে না রাখা হলে তার কাজা আদায় করার পাশাপাশি প্রতি দিনের রোযার জন্য তিনটি কাফ্‌ফারার মধ্যে একটি আদায় করতে হবে; কিন্তু যদি তা পরের বছরও পূর্ণ করা না হয়, তাহলে এহতিয়াতে ওয়াজিবের ভিত্তিতে তার সাথে অতিরিক্ত এক মোদ খাদ্য ফকিরকে দিতে হবে।
*মাসআলা : ১৬৮২- রমজান মাসের রোযা ইচ্ছা করে না রাখা হলে তারপর রোযা ভঙ্গের যত কাজই করা হোক না কেন, একটি কাফ্‌ফারাই যথেষ্ট।
*মাসআলা : ১৬৮৩- পিতার মৃত্যুর পর তার কাজা নামায বড় ছেলের উপর ওয়াজিব হয়, একইভাবে রমজান মাসের কাজা রোযাও ওয়াজিব হয়; তবে  প্রতি দিনের  রোযার পরিবর্তে এক মোদ খাদ্য ফকিরকে দিলেই যথেষ্ট হবে, যদিও তা পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তি থেকে দেয়া হয় (যদি তার ওয়ারিসগণ রাজি থাকে)।
*মাসআলা : ১৬৮৪- পিতার মৃত্যুর পর রমজান মাসের কাজা রোযা ব্যতিরেকে তার অন্য কোন ওয়াজিব রোযার কাযা; যেমন : মানতের রোযা, অন্য কারো রোযা পালন করার চুক্তিস্বরূপ রোযা ইত্যাদি না রাখা হলেও তা তার বড় ছেলের উপর ওয়াজিব হয় না।