মুসাফিরের রোযার আহকাম

لیست احکام

اطلاعات احکام

تعداد فرزند زبان
0 Bengali বাংলা bn

فرزندان

متن احکام

মাসআলা : ১৬৮৫- যে মুসাফির (সফরকারী পথিক বা পর্যটক) তার চার রাকাতের নামায দুই রাকাত পড়ে, সেরূপ অবস্থায় সে রোযা রাখতে পারবে না। কিন্তু বিপরীত অবস্থায় (যে মুসাফির তার চার রাকাতের নামায চার রাকাতই পড়ে তাকে) রোযা রাখতে হবে।
*মাসআলা : ১৬৮৬- রমজান মাসে সফর করাতে অসুবিধা নেই, কিন্তু যদি তা রোযা রাখার ভয়ে (বা তা থেকে পালানোর উদ্দেশ্যে করা) হয়, তাহলে তা মাকরুহ। হজ্ব, ওমরা অথবা জরুরি কাজ ব্যতীত অন্য কাজের জন্য সফর করার ক্ষেত্রেও একই হুকুম প্রযোজ্য হবে।
*মাসআলা : ১৬৮৭- রমজান মাসের রোযা ব্যতীত অন্য কোন রোযা কারো উপর ওয়াজিব হলে; যেমন : নির্দিষ্ট দিনে কারো রোযা রাখার ব্যাপারে চুক্তিবদ্ধ হলে বা এ'তেকাফের তৃতীয় দিনের রোযা ইত্যাদি; তখন সফর করা যাবে না; যদি তখন সে ব্যক্তি সফরে থাকে, তাহলে সেখানে ১০ দিন থাকার নিয়ত করে রোযা রাখতে হবে। আর যদি তা মানত করার কারণে ওয়াজিব হয়ে থাকে, তাহলে বাহ্যত দেখা যায় যে, সে ক্ষেত্রে সফর জায়েয এবং ১০ দিন থাকার নিয়ত করা ওয়াজিব নয়, তবে জরুরী অবস্থা না হলে তখন সফর না করাই উত্তম এবং সফরে থাকলে ১০ দিন থাকার নিয়ত করা উত্তম; কিন্তু যদি কসম বা “আহদ” এর কারণে রোযা ওয়াজিব হয়, এহতিয়াতে ওয়াজিবের ভিত্তিতে সফরে যাওয়া ঠিক নয় এবং সফরে থাকলে ১০ দিন থাকার নিয়ত করা উচিত।
*মাসআলা : ১৬৮৮- নির্দিষ্ট দিনে মুস্তাহাব রোযা রাখার মানত করা হলে, তখন সফরে থাকা অবস্থায়ও রোযা রাখা যাবে; কিন্তু নির্দিষ্ট দিনের নিয়ত করা না হলে, সফরে থাকা অবস্থায় সে রোযা রাখা যাবে না। একইভাবে নির্দিষ্ট দিনে মুস্তাহাব রোযার মানত যদি এভাবে করা হয় যে, তখন সফরে বা অন্য যে অবস্থাতেই থাকা হোক না কেন রোযা রাখব, তাহলে সফরে থাকলেও সেদিন রোযা রাখতে হবে।
*মাসআলা : ১৬৮৯- মনোবাসনা পূরণের লক্ষ্যে মুসাফির মদীনা শরিফে থাকা অবস্থায় তিন দিন মুস্তাহাব রোযা রাখতে পারবে এবং এহতিয়াতের ভিত্তিতে ঐ তিন দিন বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার হলে উত্তম।
*মাসআলা : ১৬৯০- মুসাফিরের যদি জানা না থাকে যে, সফররত অবস্থায় রোযা রাখা যায় না, ঐ ব্যক্তি রোযা রাখা অবস্থায় দিনের বেলা যদি সে মাসআলা বুঝতে পারে, তাহলে তার রোযা বাতিল বলে পরিগণিত হবে; কিন্তু ইফতারের পর যদি সে মাসআলা বুঝতে পারে, তাহলে তার রোযা সহীহ হবে।
*মাসআলা : ১৬৯১- সফররত অবস্থায় রোযা রাখার মাসআলা বা সফরের কথা যদি কেউ ভুলে গিয়ে রোযা রাখে, তাহলে এহতিয়াতের ভিত্তিতে তার রোযা বাতিল বলে গণ্য হবে।
*মাসআলা : ১৬৯২- যোহরের পরে সফর করা হলে এহতিয়াতের ভিত্তিতে রোযা পূর্ণ করতে হবে এবং তার কাজা আদায় করার প্রয়োজন হবে না; কিন্তু যোহরের আগে সফর করা হলে এহতিয়াতে ওয়াজিবের ভিত্তিতে রোযা রাখা যাবে না, বিশেষ করে যদি রাতে সফরের নিয়ত করা হয়; তবে সর্বাবস্থায় “হাদ্দে তারাখখোস অতিক্রম হবার আগে রোযা ভঙ্গের কোন কাজ করা যাবে না; যদি করা হয়, তাহলে কাফ্‌ফারা ওয়াজিব হবে।
*মাসআলা : ১৬৯৩- মুসাফির যদি যোহরের আগে তার নিজ এলাকায় বা যেখানে নুন্যতম ১০ দিন থাকবে, সেখানে পৌঁছে; সেরূপ অবস্থায় যদি রোযা ভঙ্গের কোন কাজ না করে থাকে তাহলে এহতিয়াতে ওয়াজিবের ভিত্তিতে ঐ দিন রোযা রাখতে হবে এবং তাহলে কাজা আদায় করতে হবে না, কিন্তু যদি রোযা ভঙ্গের কোন কাজ করে থাকে তাহলে শুধু তার কাজা আদায় করতে হবে।
*মাসআলা : ১৬৯৪- মুসাফির যদি যোহরের পরে তার নিজ এলাকায় বা যেখানে নুন্যতম ১০ দিন থাকবে, সেখানে পৌঁছে; এহতিয়াতে ওয়াজিবের ভিত্তিতে সেদিনের রোযা বাতিল বলে পরিগণিত হবে এবং সেদিনের কাজা আদায় করতে হবে।
*মাসআলা : ১৬৯৫- মুসাফির ও যার রোযা রাখার ব্যাপারে ওজর আছে; রমজান মাসের দিনের বেলা সঙ্গম করা, পেট ভরে খাওয়া ও পানাহার করা তার জন্য মাকরুহ।